কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে অর্থায়নের ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে একটি নীতি কাঠামো ও বাস্তায়ন কৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়নের জন্য ২৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে জলবায়ু বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফল এবং বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিএসআরএম এর সেক্রেটারি জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডি এর চিফ এপিকিউটিভ মো. শামসুল দোহা ও এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম। আয়োজক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হক।

বক্তারা বলেন, এবারের কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে অর্জন ছিল বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আলোচ্যসূচি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সম্মেলন শেষে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা। কিছু ধনী দেশ এর বিরোধিতা করলেও বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে অর্থায়নের ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপদাপন্ন দেশগুলোর অর্থায়নের জন্য আগামী ২০২৪ সাল অর্থাৎ কপ-২৯ এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি নীতি কাঠামো ও বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়ন বা খসড়া প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। ২৪ সদস্যের এই কমিটিতে ১০ জন থাকবে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর প্রতিনিধি এবং ১৪ জন থাকবে উন্নয়নশীল ও স্বল্পউন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধি। এই ১৪ জনের মধ্যে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ২ জন ও এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।

বাংলাদেশ যেহেতু অতিবিপদাপন্ন এবং নিম্ন আয়সম্পন্ন দেশের ক্যাটাগরিতে রয়েছে পাশাপাশি বাংলাদেশ এমভিসি এবং ভি-২০ দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, সেহেতু অর্ন্তবর্তী কমিটিতে (Transitional Committee) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান বক্তারা।

News Link: https://samakal.com

Pin It on Pinterest