বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনরত ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদশের নাগরিক সমাজ। আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বিশেষ জলবায়ু বিষয়ক অধিবেশনকে সামনে রেখে ২০-২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘট পালনের ডাক দেয় ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, জলবায়ু পরির্বতনের জন্য প্রধানত দায়ী ধনী দেশগুলোর সংকীর্ণ স্বার্থ চিন্তা। দায়ী তাদের ভোগবাদী জীবনযাপন পদ্ধতি । কিন্তু জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের অবস্থান সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চাপে রাখার জন্য অপরাজনীতি করছে উন্নত দেশগুলো। তাদের এই অপরাজনীতির নিন্দা জানিয়ে দ্রুত প্যাারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ আগষ্ট সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে সুইডেনের স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী (১৬ বছরের গ্রেটা থানবার্গ) একটি প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন। সেখানে লেখা ছিল,‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। তার এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বর নানা প্রান্তের স্কুল পড়ুয়ারা ধর্মঘট পালন করে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের বিশেষ জলবায়ু বিষয়ক অধিবেশনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘট পালনের ডাক দেয় ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’-এর ব্যানারে সুইডেনের ছাত্রী গ্রেটা ও বিশ্বের তরুণ সমাজ।

ঐ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের এই মানব বন্ধনে অংশ নেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট (সিপিআরডি), কোস্ট ট্রাস্ট, কোস্টাল ডেভেলাপমেন্ট পার্টনারশিপ (সি. ডি. পি.), নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এন. সি. সি. বি) এবং শরীয়তপুর ডেভেলাপমেন্ট সোসাইটি (এস. ডি. এস)-এর প্রতিনিধিরা।

বক্তব্য রাখেন সিপিআরডি’র মোঃ শামছুদ্দোহা, স্থায়িত্বশীল গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল’র) প্রদীপ কুমার রায়, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম এবং সিপিডি’র মোঃ আতিকুর রহমান টিপু প্রমুখ।

News Link: bd-pratidin.com

Pin It on Pinterest